এটি ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে একটি অপবাদ। ছাত্রশিবিরের হাতে রগ কর্তিত হয়েছে এমন কাউকে কোথাও খুঁজে পাবেননা। রগ কাটার অপরাধে ছাত্রশিবিরের কোন কর্মী কোথাও আইন আদালত কর্তৃক শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছে এমন কোন দৃষ্টান্তও নেই এমনকি কোন মামলা হয়েছে তারও নজির নেই। বিভিন্ন সময় ছাত্রশিবিরের সাথে প্রতিপক্ষের প্রকাশ্য সংঘর্ষ হয়েছে সেটি ভিন্ন কথা কিন্তু রগকাটা জাতীয় গোপন কোন সন্ত্রাসী মিশনের বিষয়টি ছাত্রশিবিরের উপর নিতান্তই একটি অপবাদ।

ছাত্রশিবিরের শত্রুরাও স্বীকার করে শিবির একটি সুসংগঠিত গতিশীল সংগঠন। সুতরাং শিবির গুপ্ত সন্ত্রাস করতে চাইলে তা এর জন্য খুবই সহজ একটি কাজ ছিল। কিন্তু বাস্তব চিত্র উল্টো। শিবিরের প্রায় দুইশতাধিক নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে, অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হয়েছে সরকারী কিংবা প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসে। বস্তুত, ছাত্রশিবিরের রাজনীতির ধরণটাই হচ্ছে গণমুখি রাজনীতি। স্বীকার করুন আর নাই করুন, সকলেই জানে পাড়ায় মহল্লায় মেধাবী চরিত্রবাণ সাধারণ ছেলেরাই ছাত্রশিবিরের সাথে সম্পৃক্ত হয়।

অন্যদিকে গুপ্ত সন্ত্রাসের কর্মপন্থার রাজনীতি কখোনো গণমুখি চরিত্র পায়না, কোন গণমুখি সংগঠনের পক্ষে গুপ্ত সন্ত্রাসের কর্মপন্থা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। বলাই বাহুল্য, স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি এদেশের মূল ধারার অধিকাংশ মিডিয়া সবসময়ই ইসলামী রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, হাজারো দোষ আর কুৎসা প্রচার করেছে। একদিকে সরকারের নির্মুল অভিযান অন্যদিকে মিডিয়ার প্রচার সব মিলিয়ে বহু আগেই বাংলাদেশের মাটি থেকে এ সংগঠনটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার কথা ছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষ মিডিয়ার প্রচারের কোন সত্যতা খুঁজে পায়নি বলেই এত প্রতিকুলতার মাঝেও ইসলামী রাজনীতি বিস্তার লাভ করে চলছে।

সেই সাথে কোন সংবাদ বিশ্বাস করার পূর্বে মহান আল্লাহ পাকের নির্দেশনাও আপনাদের স্মরণ করে দিচ্ছি। "হে ঈমান গ্রহণকারীগণ, যদি কোন ফাসেক তোমাদের কাছে কোন খবর নিয়ে আসে তাহলে তা অনুসন্ধান করে দেখ৷ এমন যেন না হয় যে, না জেনে শুনেই তোমরা কোন গোষ্ঠীর ক্ষতি করে বসবে এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে৷" [হুজুরাতঃ ৬]