যেভাবে দাওয়াত পেলাম

লেখক: মুহাম্মাদ নাসির উদ্দিন

আসসালামু আলাইকুম, শহীদি কাফেলা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের অনলাইন দাওয়তি সপ্তাহ উপলক্ষে কিছু স্মৃতিকথা লেখার উদ্দ্যেশ্যে আল্লাহ রব্বুল আলামীনের উপর ভরসা করে টাইপিং শুরু করছি। ইসলামী আদর্শের পতাকাবাহী বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মত একটি কাফেলায় শামিল হওয়া ছিল আমার জন্য একটি সৌভাগ্য। আমি ইসলামী আদর্শের এ সংগঠন করব এটি ছিল অকল্পনীয়। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাকে কবুল করেছেন এজন্য শুকরিয়া আদায় করছি।

সবেমাত্র প্রাথমিক স্তর ডিঙ্গিয়ে মাধ্যমিকে পা রাখলাম। তখন 2010 সাল আমি লক্ষীপুর স্কুল ও কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হলাম । আমার একটা ছোট্ট বাইসাইকেল ছিল সেই বাইসাইকেলে করে যাতায়াত করতাম। আমার এলাকার এক সম্পর্কে ভাতিজা ছিল নাম ছিল শিমুল। তার সাইকেল না থাকায় মাঝে মাঝে আমার সাইকেলে যেত। তিনিও চালাতেন , আমিও চালাতাম। সেদিন ছিল ২১ শে ফেব্রুয়ারী, শিমুল, কোন এক প্রসঙ্গে যেন শিবির সম্পর্কে বলল। আমি শিবির সম্পর্কে নানা রকম। প্রশ্ন করলাম।(স্কুল যাওয়ার পথে) স্কুলে গিয়ে ২১ শে ফেব্রুয়ারীর সকল আনুষ্ঠানিকতার শেষে ছাত্রদের বক্তৃতার পালা, বক্তাদের মাঝে বক্তব্য দিয়েছিলেন তৎকালীন দশম শ্রেণীর ছাত্র নুরুদ্দিন খন্দকার।

আগেই জেনেছিলাম তিনি এই স্কুলের ছাত্রশিবিরের উপশাখা সভাপতি। তার সম্পর্কে আগে থেকেই আমার পরিস্কার ধারণা ছিল। সেদিন তার ছোট্ট বক্তব্য শুনে শিবিরের প্রতি আমার চরম আগ্রহ সৃষ্টি হল। যেন আমি তখনই শিবিরে যোগ দিয়ে দেই। স্কুল শেষে বাড়ি আসার পথে শিমুলকে আরও কিছু প্রশ্ন করে শিবির সম্পর্কে ধারণা নিলাম। জানলাম যে সে শিবির কর্মী।

আমি তাকে বললাম যে, কর্মী আবার কী..? সে বুঝিয়ে বলল। এরপর আমি তাকে বললাম আমি শিবিরের কর্মী হতে চাই। তিনি আমাকে বললেন, আসরের নামাজ তার বাসার মসজিদে পড়তে। আমি বাড়ি থেকে আসরের নামাজের উদ্দ্যেশ্যে রওনা হলাম। নামাজ পড়ে, কিশামত বাগচী মাদ্রাসা মসজিদে নুরুদ্দিন ভাইয়ের সাথে দেখা হল। এরপর ওনি ওনার বাসায় রুমে নিয়ে গেলেন, এর আগে কখনো ওনার রুমে যাওয়া হয়নি। এরপর, রুমটি দেখতে শিবিরের অফিসের মত লাগছিল। রুমের চার দেওয়ালে শিবিরের নানা রকম স্টিকার বসানো ছিল।

এরপর শিবির সম্পর্কে কিছু সংক্ষিপ্ত কথা বললেন। সমর্থক ফরম দিলেন। আমি পূরণ করে শিবিরের সমর্থক হলাম। এর পর কর্মী (এপ্রিল ২০১০) এর পর এখানেও অনেক স্মৃতি। সেগুলো না হয় আরেকদিন লেখা যাবে। প্রচন্ড বাধা ছিল একসময় অথচ আজ আর বাধা নেই। বরং বাসার সবাই আজ পজিটিভ এবং সবাই এই আদর্শের সমর্থক। এরপর সাথী (২০১৫ সালে আমি তখন দশম শ্রেণীতে) এরপর সদস্য আজ ইসলামী ছাত্রশিবির আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। শুধু একটি অংশ নয় জীবনের একটি সপ্নও বটে। দোয়া করবেন জীবনের অন্তিম শেষ ক্ষণ পর্যন্ত যেন ইসলামী আন্দোলনে অটল, অবিচল থাকতে পারি। আমিন।